স্বদেশ ডেস্ক:
নানা অভিযোগ আর অনুযোগ মাথায় নিয়ে বিদায় নিচ্ছে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ উপলক্ষে আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে গত পাঁচ বছরে নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে দাবি করে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ কমিশনের বড় সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম।
বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদ, জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন এবং সব স্থানীয় সরকার পরিষদের সাধারণ ও উপনির্বাচনসহ ৬ হাজার ৬৯০টি নির্বাচন বর্তমান কমিশন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও ব্যত্যয় ঘটেছে, সহিংসতা হয়েছে। তবে সব উতরে কঠোর পরিশ্রম করেই সুষ্ঠুভাবে পুরো দেশে ভোট সম্পন্ন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সময়ে নানা ধরনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কিছু কিছু কাজে আমরা সফল হইনি কারণ করোনার জন্য গত ২ বছর আমরা পিছিয়ে গেছি। তারপরও আমাদের চেষ্টা ছিল।’
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে কিছু নির্বাচন সময়মতো করতে না পারলেও পরে তা যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। রুটিন কাজের বাইরেও আমরা নতুন নতুন কাজ শুরু করেছি।’
সংবিধানের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর। সে হিসেবে ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথ নেওয়া বর্তমান কমিশনের মেয়াদের শেষ দিন আজ। ইতোমধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন প্রক্রিয়া চলছে।
ইসি নিয়োগ আইনানুযায়ী, নতুন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের নাম সুপারিশ করার কার্যক্রম গুছিয়ে আনছে। এই ১০ জনের তালিকা থেকেই সিইসিসহ নতুন কমিশনের পাঁচজনকে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। সার্চ কমিটি গঠনের পর থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই নাম পাঠাতে হবে। সেই হিসেবে নাম সুপারিশের জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পাচ্ছে কমিটি।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দু-এক দিনের মধ্যেই নতুন ইসি শপথ নিতে পারে। সার্চ কমিটির কাজ শুরুর দিনেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় থাকলেও সার্চ কমিটি আগেই কাজ শেষ করবে।